নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর রসুলপুর এলাকার যুবলীগ নামধারী কে এই দ্বীন ইসলাম গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানা কুন্ডেরচর গ্রামে বাবার নাম মোঃ বিল্লাল হোসেন তারা পাঁচ ভাই দুই বোন তার বাবা একজন গরুর ব্যাপারী প্রথমে ঢাকায় এসে মিরহাজিরবাগ এলাকায় তাদের আশ্রয়।
মিরহাজিরবাগ এলাকায় থেকে গরুর ব্যবসা করে বিল্লাল হোসেন। পরে গরুর ব্যবসা বাদ দিয়ে শুরু করে দুধ বিক্রির ব্যবসা ।সেই থেকেই সবাই তাকে দুধের বেপারী বলে জানে। ১৯৯৬ সালে বিল্লাল হোসেন কুতুবপুরের উত্তর রসুলপুর ৮ কাটা জায়গা ক্রয় করে সেখানে একটি বাড়ি তৈরী করেই হয়ে যায় রসুলপুরের বাসিন্দা।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ফতুল্লা গরুর হাট থেকে দ্বীন ইসলামের বাবা বিল্লাল হোসেন কে পাওনা টাকার জন্য তুলে নিয়ে যায় মাসদাইর এলাকায় ডামুইড্ডার এক গরু ব্যবসায়ী।পরে রসুলপুর এলাকার লোকজন ওই গরু ব্যবসায়ীকে পাওনা টাকা পরিশোধ করে দিবে বলে জানায় আর বিল্লাল হোসেন কে ছেরে দেবার কথা বলে। পাওনাদার গরুর ব্যবসায়ী এতে রাজী হয়নি সে টাকা ছাড়া বিল্লাল হোসেন কে ছাড়তে নারাজ টাকা ছাড়া তাকে ছারবে না। এর পর এলাকার লোকজন গরু ব্যবসায়ীকে বলে আমারা বিল্লাল হোসেন কে নিয়ে যাবো তার বিনিময় তার ছেলে দ্বীন ইসলামকে রেখে যাবো টাকা পরিশোধ করে তাকে নিয়ে যাবো। পরে গুরু ব্যবসায়ী ছেলের বিনিময় বাবাকে ছেরে দেয়।
পরে দ্বীন ইসলাম বাবা এলাকার লোকজন নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা কাউসার আহমেদ পলাশের কাছে যায় পলাশের হস্তক্ষেপে সেখান থেকে দ্বীন ইসলামকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর উত্তর রসুলপুর এলাকায় কবির নামের একটি ছেলে মার্ডার হয় সেই হত্যা মামলার আসামি হয় দ্বীন ইসলাম, ছোট ভাই অলি ও বাবা বিল্লাল হোসেন। সেই মামলায় হাজতবাস করেছে তারা। বর্তমানে সেই মামলা চলমান রয়েছে। হাজতবাস করার পর দ্বীন ইসলামের বাবা মারা যায়।
বাবা মারা যাওয়ার পর গরুর দুধ বিক্রি করে কোন মতে সংসার চলে তাদের, কিছুদিন পর দ্বীন ইসলাম চলে যায় প্রবাসে সেখানে ছয় মাস না যেতেই ফিরে আসে দেশে ।এসেই আবার শুরু করে গরু পালা দুধ বিক্রি খেয়ে না খেয়ে কোন রকম সংসার চলে।
একসময় সম্পর্ক হয় মাদক ব্যবসায়ী ইমরান মিশরী ও বিল্লাল মিশরীর সাথে। আলোচিত মাদক ব্যাবসায়ী ইমরান মিশরী সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয় দ্বীন ইসলামের । ওয়াসার উপরে মাদকের স্পট চালাই ইমরান মিশরী ও বিল্লাল মিশরী আর সেই স্পট থেকে মাসোহারা দিতো দ্বীন ইসলামকে।
ইমরান মিশরী ও বিল্লাল মিশরী উত্তর রসুলপুর এলাকায় মাদক ব্যাবসা করতে চাইলে দ্বীন ইসলাম তাদের কাছে দাবি করে মোটা অংকের মাসোহারা । ইমরান মিশরী দিতে রাজি না হওয়ায় একে অপরের হয়ে যায় শত্রু । এরপর শুরু হয় দ্বীন ইসলামের উত্থান।
এ বিষয়ে দ্বীন ইসলাম জানান, বাবাকে ফতুল্লা গরুর হাট থেকে তুলে নিয়ে গেছে এটা সত্য তার সাথে ব্যবসায়ীক একটা ঝামেলা ছিলো। বাবাকে গরু কেনার কথা বলে তাকে ডেকে নিয়ে যায়, সেখান থেকে সেই গরু ব্যবসায়ী তাকে তুলে নিয়ে যায়। তার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। কিন্তু সেই টাকা দেওয়ার মত আমাদের ক্ষমতা ছিলো না। পরে আমাদের ২ শতাংশ জমি বিক্রি করতে হয়েছে। শ্রমিক নেতা কাউসার আহম্মেদ পলাশ এর বিষয়টা জানতে চাইলে তিনি বলে হ্যা আমি আওয়ামী লীগ করি ছোট কাল থেকেই যেহুতু দল করি তাই পলাশ ভাই আমাকে ছারিয়ে আনছে।
কবির হত্যার বিষয় জানতে চাইলে দ্বীন ইসলাম বলে হ্যা এটা সত্য কিন্তু আমরা এর সাথে জরিত ছিলাম না। আমাদের মিথ্যা মামলা জরিয়েছে বিনা দুষে আমরা জেল খেটেছি। *** চলমান—-